চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

আনন্দদায়ক শিশুশিক্ষার প্রত্যয়ে বাতিঘর বিদ্যালয়

ঢাবি প্রতিনিধি: শিশুর সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে আলো জ্বালবার ব্রত নিয়ে চলছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর হুমায়ুন রোডে ‘বাতিঘর বিদ্যালয়’ নামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এ বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। তবে শিশুর জন্য শিক্ষাকে সত্যিকার অর্থে আনন্দদায়ক করে তুলতে সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে গুরুত্ব দিয়ে বিদ্যালয়কে শিশুর আনন্দ আশ্রম হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ‘বাতিঘর’।

এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে ‘বাতিঘর বিদ্যালয় পরিচিতি’ ও ‘শিশুশিক্ষায় আনন্দ’ শিরোনামে মুক্ত-আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের শিশু এবং শিক্ষকদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান।

এরপর সাড়ে ৫ টায় শুরু হয় মুক্ত আলোচনা। এতে অংশ নেন- কিশোর আলো সম্পাদক ও সাহিত্যিক আনিসুল হক, শিশু সাহিত্যিক আখতার হোসেন, বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. তপন বাগচী, উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং সাংবাদিক ও সাহিত্যিক জাহিদ নেওয়াজ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের অধ্যাপক শ্যামলী আকবর এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের হেড অব আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্টের রাফিয়া রশিদ মিথিলা সহ আরও অনেকে।

মুক্ত আলোচনায় কিশোর আলো সম্পাদক ও সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন: আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। যে শিক্ষা ব্যবস্থা বাচ্চাদের শৈশবের আনন্দ কেড়ে নেয় তার প্রয়োজন নেই। সেই সঙ্গে তিনি বাতিঘর বিদ্যালয়ের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগের সফলতা কামনা করেন।

শিশু সাহিত্যিক আখতার হোসেন বলেন: শিশুরা যদি তাদের কাজে আনন্দ না পায়, তাহলে কোন কিছুই তারা ভালমতো শিখতে পারবে না। শিশুদের মানসিকভাবে বেড়ে উঠতে আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা প্রদানের বিকল্প নেই।

আলোচনার এক পর্যায়ে অধ্যাপক শ্যামলী আকবর বলেন: আমাদের সবচেয়ে বড় দীনতা আমাদের বাচ্চাদের খেলাধুলা করার পর্যাপ্ত জায়গা ও সুযোগ কোনটিই নেই। এদিকে আমাদের সকলকে সোচ্চার হতে হবে।

আলোচনা সভায় বক্তারা পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বোর্ড পরীক্ষা নেয়ার রীতির তীব্র সমালোচনা করেন এবং শিক্ষার্থীদের উপর বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার চাপ বন্ধ করার আহ্বান জানান।