চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

আদালতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের হাতাহাতি কেন?

পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে তুমুল হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার দুপরে খালেদা জিয়া আদালত ত্যাগ করার পর এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকারসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

হঠাৎ এমন হাতাহাতির কারণ সম্পর্কে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিশেষ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিনের পর টিভি ক্যামেরায় মুখ দেখানো নিয়ে এই হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতের বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, টিভি ক্যামরায় নিজের উপস্থিতি জানান দিতে অন্য সময়ের মতো ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন আইনজীবীরা। এ পর্যায়ে ঢাকা বার কাউন্সিলের সভাপতি অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলমের সঙ্গে সুপ্রিমকোর্টের জুনিয়র আইনজীবী মির্জা আল মাহমুদের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় খোরশেদ আলমকে লাথি মারেন মির্জা আল মাহমুদ।

এরপর শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এসময় শারীরিকভাবে একে অপরকে লাঞ্ছিত করতে থাকেন তারা। পরে ঢাকা বারের আইনজীবীরা মির্জা আল মাহমুদের ওপর চড়াও হন। এতে তার শার্ট ছিঁড়ে যায়। পরে সিনিয়র আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আইনজীবী আক্ষেপ করে বলেন, এধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। নিজেদের মধ্যে এমন ঘটনায় বিরোধী পক্ষ সুযোগ পাবে। মানুষ আমাদের নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবে।

বেগম খালেদা জিয়াকে এক লাখ টাকার মুচলেকা ও বিদেশে গেলে আদালতের অনুমতি লাগবে এসব শর্ত সাপেক্ষে দুটি মামলায় জামিন মঞ্জুর করার পরই আইনজীবীদের মধ্যে এক ধরনের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। কয়েকজন আইনজীবী আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সেলফি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুবু উদ্দীন খোকন সেলফিতে অংশ নেন।

তাদের এমন সেলফিকাণ্ড দেখে উপস্থিত অনেকে সমালোচনা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া আদালত ত্যাগের পরপরই টেলিভিশনে মুখ দেখানোকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন আইনজীবীরা।

এ বিষয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।