নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় হাই কোর্টের দেয়া রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, কিছু ব্যক্তি তার অপরাধের জন্য দণ্ড পেয়েছে, এজন্য র্যাবের মতো এলিট বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার কারণ নেই।
রায়ের পর নিজ কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, “হাইকোর্টের দেয়া এই রায়কে আমি দৃষ্টান্তমূলক রায়ই বলব। এই রায়ে আমরা স্বস্তি অনুভব করছি।”
তিনি আরো বলেন, “অপরাধ যে কোনো লোক করতে পারে- সেটা বাহিনী হোক কিংবা উচ্চপদে আসীন কোনো ব্যক্তি হোক। কতিপয় অপরাধীর জন্য কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা ঠিক হবে না।”
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, কোম্পানি কমান্ডার মেজর (অব.) আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার (চাকরিচ্যুত) এম মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন, হাবিলদার মো. এমদাদুল হক, এ বি মো. আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হিরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব আলী, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দু বালা, সৈনিক আবদুল আলিম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম।
বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন: সৈনিক আসাদুজ্জামান নুর, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, নুর হোসেনের সহযোগী মুর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু ওরফে মিজান, মো. রহম আলী, মো. আবুল বাসার, সেলিম, মো. সানাউল্লাহ অরফে সানা, ম্যানেজার শাহজাহান, জামাল উদ্দিন।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১০ বছর ও ৭ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন।