প্যারাঅলিম্পিয়ান ‘ব্লেড রানার’ খ্যাত অস্কার পিস্টোরিয়াস জেলে বসেই হাতের কব্জি ব্লেড দিয়ে কেটে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ পত্রিকা ডেইলি মেইল অনলাইন। কারারক্ষীরা দ্রুত আহত পিস্টোরিয়াসকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পুলিশ ও সাউথ আফ্রিকার গণমাধ্যম জানায়, মূলত হতাশা থেকেই আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল পিস্টোরিয়াস। জেলখানার রুম থেকে পুলিশ দুটি রেজর ব্লেড উদ্ধার করেছে।
যদিও এ ঘটনার পর পিস্টোরিয়াস আত্মহত্যা করার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ঘুমের ওষুধ খেয়ে আমি ঘুমাতে গিয়েছিলাম, এর মাঝে গভীর রাতে টয়লেট থেকে ফিরতে গিয়ে পিছলে পড়ে যাই এবং হাতে ও মাথায় প্রচুর আঘাত পাই।
তবে শনিবার সকাল থেকেই কারাগারে অনেক বন্ধু বান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পরে পরিবারের সদস্যদের তার আঘাতের কথা জানান।
অসুখের কারণে মাত্র এক বছর বয়সেই পিস্টোরিয়াসের হাঁটুর নীচ থেকে দুই পা কেটে ফেলতে হয়েছিল৷ কিন্তু তারপরও দমে যাননি তিনি৷ বরং কার্বন ফাইবার ব্লেডের ওপর ভর দিয়ে দৌড়ে খ্যাত হয়েছিলেন পিস্টোরিয়াস। ২০১২ সালে অলিম্পিকেও অংশ নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই অ্যাথলেট।
এর আগে ২০০৮ সালের বেইজিং প্যারালিম্পিকে একশ, দু’শ এবং তিন’শ মিটার দৌড়ে সোনা জয় করেন তিনি। এমনকি টাইম ম্যাগাজিনের বিবেচনায় বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যেও ছিলেন এই ক্রীড়াবিদ।
কিন্তু হলিউডের সিনেমার মতোই বদলে যায় পিস্টোরিয়াসের জীবন।
২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়িতে জনপ্রিয় মডেল বান্ধবী রিভাকে গুলি করে খুন করেন তিনি। নিজ বান্ধবী ও মডেল রিভা স্টিনকেম্পকে হত্যার দায়ে পিস্টোরিয়াসকে ছ’বছরের কারাদণ্ড দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার এক আদালত।