চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

আগামী বাজেট হবে সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকার: অর্থমন্ত্রী

আয়কর দাতাদের কর পরিশোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, বর্তমান বাজেটের আকার ৪ লাখ ২২৬ কোটি টাকার, আগামীতে সেটা সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকায় উন্নীত হবে, তার পরের বছর বাজেট আরো বড় হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুর কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর ক্যাম্প ও করদাতা উদ্বুদ্ধকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহিত এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কর অঞ্চল-৩। এতে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, সভাপতিত্ব করেন কর অঞ্চল-৩ এর কর কমিশনার নাহার ফেরদৌসি বেগম।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা অতিরিক্ত কর আদায় করব, অতিরিক্ত সেবা দেব। দেশে সমৃদ্ধি আনব। বর্তমান বাজেটের আকার হলো ৪ লাখ ২২৬ কোটি টাকার। আগামীতে সেটা সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকায় উন্নীত হবে। পরের বছর তা আরও বাড়বে। এভাবে কিছু দিনের মধ্যে বাজেটকে একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে এজন্য করদাতাদের এগিয়ে আসতে হবে।

সবাইকে নিয়মিত কর দেওয়ার আহবান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আয়কর দিলে দেশ সমৃদ্ধ হবে। এখন আয়কর দিয়ে সবাই সহোযোগিতা করছে। বেশিরভাগ করদাতার বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছর। এটা আমাদের জন্য সুখকর।

তবে আদায়কারী কর্মীরা করবান্ধব না হলে শাস্তি পেতে হবে জানিয়ে মুহিত বলেন, আয়কর আদায়কারী কর্মীরা যেন মানুষের বন্ধু হন। কারণ তারা কর প্রদানকারী মানুষের বন্ধু হলে যেমন পুরস্কার আছে, তেমনি বন্ধু না হতে পারলে শাস্তিও পেতে হবে।

২০২৪ সালের মধ্যে দেশে কোন গরিব থাকবে না মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাগী পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় পৌঁছে যাবো। তখন দেশে কোন গরীব থাকবে না। তবে ৭ শতাংশ গরিব সব সময়ই থাকে। উদাহরণ হিসেবে তিনি প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধদের কথা বলেন। তবে সরকারকে তাদের সহযোগিতা করতে হবে।

২০২০ সালে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষনা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেনি তিনি। অনুষ্ঠানে পুলিশ বাহিনীর প্রশংসা করে মুহিত বলেন, পুলিশ না হলে বেচে থাকা মুশকিল হতো। তারা না থাকলে চুরি চামারিতে দেশ ছেয়ে যেত। শান্তিতে ঘুমাতে পারতাম না। রাস্তাঘাটেও নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারতো মানুষ। এই বিষয়টা আমাদের খেয়াল রাখা উচিত। পুলিশ বাহিনী মানুষের সেবায় কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে এনবিআরের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, সরকার বড় বড় যেসব প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেসব কাজ সম্পন্ন করতে রাজস্ব আয় প্রয়োজন। কারণ রাজস্ব হলো উন্নয়নে অক্সিজেন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় সবাইকে কর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এনবিআর অতীতের দুর্নাম গুছিয়ে এখন জনবান্ধব কাজ করছে। তাই আপনারা রাজস্ব দিয়ে সরকারকে সহায়তা করুন।

বড় ব্যবসায়ীদের রাঘব বোয়াল হিসেবে মন্তব্য করে ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ বলেন, তারা যেন সবাই করের আওতায় আসে। এছাড়া সবল রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরও কর দেওয়ার আহবান জানান তিনি।

এনবিআরর এক ভিডিও প্রচারের উদাহরন দিয়ে ইলিয়াস উদ্দিন বলেন, ভিডিওতে দেখা গেছে চিকিৎসকরা তাদের আয়কর সম্পর্কে বুঝে না। এসব উচ্চ শিক্ষিতরা যদি আয়কর সম্পর্কে না বুঝে তাহলে সাধারণ জনগণ কিভাবে বুঝবে? রাজস্ব সেবা সম্পর্কে এনবিআরকে আরও বেশি প্রচারের আহবান জানান তিনি।