চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

আইফোন সেভেন কিনলে চাকরি ‘নট’!

হয়তো আপনার খুব শখ ভালো একটা আইফোন কেনার। অ্যাপলের স্মার্টফোনের সর্বশেষ সংস্করণ আইফোন সেভেন বাজারে আসার পরই সাহস করে অনেকগুলো টাকা খরচ করে কিনে ফেললেন একখানা। এতে আপনার শখ পূরণের পাশাপাশি দরকারও মিটল, ভাবটাও বাড়ল, আবার অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী বন্ধুদের ঈর্ষা দেখে মনে মনে একটু খুশিও লাগল আপনার।

কিন্তু এই আইফোন কেনার দোষে যে আপনার সাধের চাকরিটাই চলে যেতে পারে, তা কি একবারও ভেবে দেখেছেন?

না, বাংলাদেশে এমনটা না হলেও চীনের এমন ঘটনার ঝুঁকিতে আছেন অনেকে। দেশটির বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রধান তাদের কর্মচারীদের হুমকি দিয়েছেন, নতুন আইফোন সেভেন ফোন কিনলে তাদের চাকরিতে পদোন্নতি পেতে ভবিষ্যতে সমস্যা হবে; এমনকি চাকরিটাও চলে যেতে পারে!

এমনই একটি উদাহরণ চীনের হেনান প্রদেশের নানইয়াং ইয়ংকাং ওষুধ কোম্পানি। কর্মীদের আইফোন সেভেন বা আইফোন সেভেন প্লাস কেনা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি একটি আনুষ্ঠানিক নোটিশ টাঙ্গিয়েছে তার অফিসে। সেখানে লেখা: ‘এই নিয়মটি যদি ভাঙ্গেন, তাহলে কষ্ট করে সরাসরি অফিসে এসে ইস্তফাটা দিয়ে যাবেন।’

কর্তৃপক্ষের এ ধরণের সিদ্ধান্তের কারণ স্পষ্ট না হলেও কোম্পানিগুলোর দাবি, তারা দেশপ্রেমের দৃষ্টি থেকে কাজটি করছেন। অনেকে আবার বলছেন, তাদের কর্মচারীরা যেন খুব বেশি বস্তু বা জাগতিক বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে না পড়ে, সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

যেমন ওই ওষুধ কোম্পানির নতুন নীতি বিষয়ক নোটিশটি টাঙ্গানো হয় ১৯৩১ সালে চীনে জাপানি সেনাদের আক্রমণের ৮৫তম বার্ষিকীতে। সেখানে বলা হয়, ‘১৮ সেপ্টেম্বর একটি ঐতিহাসিক দিন। ভুলে যাবেন না সেই দিনটিতে আমাদের জাতীয় অপমানের কথা। আসুন আমরা বিদেশি পণ্য বর্জন করি।’

ঘোষণাপত্রটি চীনের সামাজিক মাধ্যম ‍উইবো’তে ছড়িয়ে পড়ে। ওই প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে এভাবে আইফোন কেনা নিষিদ্ধ করাকে কর্মীদের অধিকারের লঙ্ঘন বলে দাবি করেছেন অনেকে। অনেকেই আবার বলছেন, আইফোন সেভেন ও সেভেন প্লাস বর্জনের এই দেশের জন্য আর্থিক লোকসান বয়ে আনতে পারে। কেননা চীনের ফক্সকন ফ্যাক্টরিতেই মূলত অ্যাপলের পণ্য তৈরি হয়।