চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আইন আইনের গতিতে চলেছে: র‍্যাব

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলায় র‍্যাবের তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৫ জন সদস্যের সাজা হওয়ার বিষয়ে সংস্থাটি আনুষ্ঠানিকভাবে কোন প্রতিক্রিয়া না জানালেও র‌্যাবের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, আইন আইনের গতিতে চলেছে।

এলিট ফোর্স হিসেবে পরিচিত র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়নের (র‌্যাব) ওই কর্মকতা চ্যানেল আই অনলাইনকে আরো বলেন, ‘আইন সবার ঊর্ধ্বে। অপরাধী অপরাধ করেছে, বিচার হয়েছে। র‌্যাব কখনো অপরাধীদের প্রশ্রয় দেয় না। র‌্যাবের যারা সাত খুনের ঘটনায় জড়িত ছিলো তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‌্যাব।’

সাত খুনের ঘটনায় করা মামলায় সোমবার প্রধান আসামি নূর হোসেন, কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ, মেজর রানাসহ ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং যাবজ্জীবনসহ ৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার সাজাপ্রাপ্ত র‍্যাব সদস্যদের মধ্যে ১৭ জন কারাগারে আছেন। তারা হলেন চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দ বালা, করপোরাল রুহুল আমিন, এএসআই বজলুর রহমান, হাবিলদার নাসির উদ্দিন, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, সৈনিক নুরুজ্জামান, কনস্টেবল বাবুল হাসান ও সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর।

আর পলাতক আটজন হলেন করপোরাল মোখলেছুর রহমান, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বিকেলে অপহৃত হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জন। তিন দিন পর তাদের মরদেহ পাওয়া যায় শীতলক্ষ্যা নদীর শান্তির চর এলাকায়।

এ ঘটনায় একটি মামলা করেন নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল এবং আরেকটি মামলা করেন নিহত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।