নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হচ্ছে। গতকাল সংঘর্ষে আহত আইভী বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বেশি অসুস্থ অনুভব করা শুরু করেন। এরপর কয়েকবার বমি করলে তাকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছিলো। তবুও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এরপর বিকাল ৪ টায় মেয়র আইভীকে নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার দিকে রওনা হয়। ঢাকায় নারায়ণগঞ্জের মেয়রকে ল্যাবএইড হসপিটালে নিয়ে আসার কথা রয়েছে।
এর আগে সংঘর্ষের বিষয়ে বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছিলেন, হত্যার উদ্দেশ্যেই তার ওপর হামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন: আধাঘণ্টা রাস্তায় পড়ে ছিলাম, তখন পুলিশ আসতে পারতো। ত্বকী হত্যার ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আন্দোলনে তো আমিই ছিলাম। তখন তো পুলিশ চলে আসতো মাঝখানে। একতরফা এভাবে কেউ মার খাইনি।
‘‘আমার দেড়শ’ থেকে দুইশ’ কর্মীকে আহত করলো। আমার কর্মীদের সবার মাথা ফাঁটা। আমার ভাই আহত, আমি হাঁটতে পারি না। প্রশাসন আমাকে ইনফর্ম করতে পারতো। বলতে পারতো, ওখানে এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে, আপনি যাবেন না ওখানে। আমরা যারা মানুষের জন্য কাজ করি তারা জন্মমৃত্যু নিয়েই কাজ করি।’’
নারায়ণগঞ্জের ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সাংসদ শামীম ওসমান ও মেয়র আইভী সমর্থকদের সংঘর্ষে মেয়র আইভী, সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়। প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়াসহ দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই শতাধিক শর্ট গানের ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর চাষাঢ়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেসময় অস্ত্র উঁচিয়ে তেড়ে গেলে গণধোলাইয়ের শিকার হন শামীম ওসমানের সমর্থক নিয়াজুল।