ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতের ঘটনায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হলো- এত গুরুত্বপূর্ণ একটা মামলার শুনানি হলো। প্রথম দিন অ্যাটর্নি জেনারেল এলেন না। আদালত বললেন, আগামী দিন আদেশের জন্য রাখছি, যাতে আমরা তার বক্তব্য শুনতে পারি। তার পরের দিন আদেশের জন্য যখন মামলা উঠল, অ্যাটর্নি জেনারেল তখনও এলেন না। তাকে খবর দেওয়া হলো। আদালত অপেক্ষা করেছিলেন তার জন্য। কিন্তু, তিনি এলেন না। এর অর্থ কী? এর অর্থ হলো- সরকার চেয়েছে আদালত স্থগিতাদেশ দিয়ে দিক। সেটিই হয়েছে।’
এছাড়া নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘সেদিন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী দায়সারা একটা আবেদন করেছিলেন। তারাও চেয়েছেন যেন, এটা স্থগিত হয়ে যায়।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাগপা ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘ডাকসুসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচন চাই’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘ডিএনসিসি নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে আমরা মনে করি, সরকার ও নির্বাচন কমিশন একই নৌকার যাত্রী। সরকার দলীয় প্রার্থী হেরে যাবেন বলেই আদালতের মাধ্যমে তারা কাজগুলো করেছে।’
তিনি দাবি করেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নির্বাচন ঘিরে সরকার তিন তিনটি জরিপ করেছে। সবগুলোতেই তাদের জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই বুঝতে পেরেই নির্বাচন স্থগিত করেছে।
এই বিএনপির নেতা বলেন, সরকার সত্যিকার অর্থে নির্বাচন চাইলে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করত। তাহলে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হয়ে যেত এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো বাধা থাকত না। কিন্তু, বাস্তবতা হচ্ছে- সরকার এখন হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে। আর অন্যদেরকে দোষারোপ করছে।
তিনি বলেন, সরকার এখনো নির্বাচন চাইলে আপিল করতে পারে। তবে এই নির্বাচন ঘিরে যা হলো, তাতে জনগণ আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন- জাগপা সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান আসাদ প্রমুখ।