চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পূর্বাচলে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের পূর্বাচল থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আটক চার জনসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে পুলিশ।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে শনিবার রাতে রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছে, শরিফুল, শাহীন ওরফে সানা, রাসেল, শান্ত, হৃদয় ও মুরাদ। হৃদয় কাতারে অবস্থান করছে। মুরাদ এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, হৃদয় গোসল করতে গিয়ে পূর্বাচলের ৫ নম্বর সেক্টরের খাল থেকে একটি ব্যাগ পায়। এ ব্যাগে বেশ কয়েকটি এসএমজি ছিলো। সে শরীফুলকে জানায়। এরপর শরীফুল, শাহীন, রাসেল, শান্ত, হৃদয় ও মুরাদ এসব অস্ত্র নিজেরা ভাগাভাগি করে নিয়ে নেয়। এবং বিক্রির চেষ্টা করতে থাকে। এসব আসামিরা লুকিয়ে রাখা অস্ত্রের একাংশের সন্ধান ঘটনাচক্রে পায়। কিন্তু তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অস্ত্রের ব্যাপারে না জানিয়ে নিজেদের হেফাজতে রেখে দেয়। এসব আসামির হেফাজত থেকে আটটি অস্ত্র পাওয়া যায়। শাহীন ও শান্ত’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পূর্বাচলের ৩ নম্বর সেক্টরের বন্ধু সিটি থেকে এবং রাসেলের দেয়া তথ্যানুযায়ী পাঁচটি এসএমজি শনিবার বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।

রূপগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, যেহেতু অস্ত্রগুলো আসামিদের হেফাজতে ছিলো ও তারা এগুলো বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখেছিলো এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। পুরো অস্ত্রের চালানের ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি। তবে এই মামলার সূত্র ধরেই পুরো অস্ত্রের চালানের বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান চালাবো। মামলার ছয় আসামির বাকি দুইজনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) মধ্যরাত দেড়টা থেকে রূপগঞ্জে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের সহায়তায় পুলিশ রূপগঞ্জের পূর্বাচলের ৫ নম্বর সেক্টরের একটি খালে ডুবিয়ে রাখা ২১টি ব্যাগে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে।

শরিফ নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশ এ অস্ত্রের সন্ধান পায়। এখান থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে, ৬২টি এসএমজি বা সাব মেশিনগান, ২টি রকেট লঞ্চার, ২টি ওয়াকিটকি, ৫টি ৭ পয়েন্ট ৬২ বোরের পিস্তল, ৪৯টি রকেট লঞ্চার প্রজেক্টর, ৪২টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৪৪টি এসএমজির ম্যাগাজিন, বিপুল পরিমাণ টাইমফিউজ, ইগনাইটার ও গুলি।

অভিযানের দ্বিতীয় দিনে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে পুলিশ আরো পাঁচটি এসএমজি পায়। এ ঘটনায় ঢাকা রেঞ্চের ডিআইজ শফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ১২ সদস্যের গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এ কমিটিকে ১০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।