হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং নারায়ণগঞ্জ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের সমর্থকদের মধ্যে হয়ে যাওয়া গতকালের সংঘর্ষের পর এখন নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতি একদমই ঠাণ্ডা।
অস্ত্র উঁচানো নিয়াজুলকে মঙ্গলবার গণধোলাই দেওয়ার পরে বুধবার বেশ ঠাণ্ডা নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ।
নারায়ণগঞ্জের এক বাসিন্দা মানিক সাহা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, গতকালের ঘটনার পরে আজ এমনিতে নারায়ণগঞ্জের রাস্তাঘাট স্বাভাবিক রয়েছে। তবে হকাররা বসতে পারেনি। দুয়েক জায়গায় হকাররা বসেছেন আশেপাশের দোকানদারদের সহযোগিতায়।
তিনি আরো জানান, গতকালের সংঘর্ষে আহতরা বুধবার সিটি কর্পোরেশনে যান আইভীর সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে তৈরি হয় অনেক ভীড়। পুলিশ ঘিরে রাখে সিটি কর্পোরেশন এলাকা।
গতকাল সেলিনা হায়াৎ আইভী ও শামীম ওসমান সমর্থকদের মধ্যে হামলার ঘটনার সময়ে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক সমিতি। নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ও জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা শিঘ্রই হামলাকারীদের আটকের আহ্বান জানান।
প্রতিবাদ সভায় তারা দাবি করেন, ২০ ঘণ্টার মধ্যে নিয়াজুলকে গ্রেফতার করতে হবে তা না হলে পরবর্তী কর্মসূচীতে যাবে সাংবাদিক সমাজ। এসপি ও ডিসির দায়িত্বে অবহেলারও অভিযোগ তোলেন সাংবাদিকরা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেসক্লাবের আয়োজনে এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক। আরো ছিলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মাসুম।
তিনি বলেন, প্রশাসনের উপরে হামলা হলে এতক্ষণে নিয়াজুলকে ক্রসফায়ার দেওয়া হতো। তবে সাংবাদিকদের উপর হামলা হয়েছে দেখে এবং শামীম ওসমান তাদের পক্ষে ছিলেন বলে প্রশাসন এখনো চুপ করে আছে।
নারায়ণগঞ্জের সংঘর্ষের বিষয়ে এলজিইডি মন্ত্রী বলেন, ফুটপাত হকারদের জন্য নয়, মেয়র সঠিক অবস্থানে রয়েছে। তবে হকারদের পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা না করে উচ্ছেদ অমানবিক।
নারায়ণগঞ্জের ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে সাংসদ শামীম ওসমান ও মেয়র আইভী সমর্থকদের সংঘর্ষে মেয়র আইভী, সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়। প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়াসহ দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই শতাধিক শর্ট গানের ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর চাষাঢ়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সেসময় অস্ত্র উঁচিয়ে তেড়ে গেলে গণধোলাইয়ের শিকার হন শামীম ওসমানের সমর্থক নিয়াজুল।
দেখুন নিচের ভিডিওটি: