বিপুল আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে গত ২২ শে জুলাই বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম জয়ন্তী পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে স্থানীয় একটি কলেজ অডিটরিয়ামে সিডনী, ক্যানবেরা ও অকল্যান্ডের প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পীদের পরিবেশনায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উৎসবমূখর পরিবেশে প্রায় দুইশতাধিক প্রবাসী এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাইকমিশনার। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে বাংলা সাহিত্য ও সংগীতের দুই বলিষ্ঠ স্তম্ভ উল্লখে করে তিনি বলেন, তারা অমর, তাদের সৃষ্টি কর্ম অবিনশ্বর। আর তাই তারা সকল বাঙ্গালীর হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন চিরকাল।
দুই কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বাংলা সাহিত্য সংগীত ও সংস্কৃতিকে লালন এবং নতুন প্রজন্ম ও বিদেশীদের কাছে তুলে ধরার জন্য সে সকল প্রবাসী বাংলাদেশী নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পাঁচ জন শিল্পী ও সংগঠনকে এই প্রথম বারের মত ‘হাইকমিশনার’স এ্যওয়ার্ড সম্মাননা দেয়া হয়।
সম্মাননা পাওয়া সাংস্কৃতিক-সংগীত শিল্পী ও সংগঠনগুলো হলো- সিরাজুস সালেকীন (প্রতীতি, সিডনী), স্পন্দন (ক্যানবেরা), রানী আকলিমা (অকল্যান্ড), পারমিতা দে (সুরধ্বনী সংগীত একাডেমী, ক্যানবেরা) ও ইশনাত জেরীন উর্মি (তিলানা নৃত্যালয়, ক্যানবেরা)।
অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাঙ্গালী বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিকে উপস্থাপন ও আত্মস্থকরণে উদ্বুদ্ধ করতে যারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন হাইকমিশনার।
তিনি বলেন, আগামীতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলে যারা বিশেষ অবদান রাখবেন তাদেরকেও এ সম্মাননা দেয়া হবে।