বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ফিল্ম ফেস্টিভালগুলোতে এখন ইরানি সিনেমার জয়জয়কার। কান, লোকার্নো, বার্লিনসহ সব ফিল্ম ফেস্টিভালগুলোতেই এখন শক্ত অবস্থানে আব্বাস কিয়ারোস্তামির উত্তরসুরিরা। সমানভাবে বরাবরই অস্কারেও দাপট দেখান তারা। আসন্ন ৯০তম অস্কার অ্যাওয়ার্ড-এর আসরেও সিনেমা নিয়ে প্রস্তুত ইরান।
গেল বছর অস্কারের সেরা বিদেশি ভাষার ক্যাটাগরিতে মেধাবী নির্মাতা আসগর ফারহাদির ‘দ্য সেলসম্যান’ অস্কার জয় করে নিয়েছিলো। সেই সুখস্মৃতি নিয়ে ফারহাদির উত্তরসুরি হিসেবে অস্কারে লড়তে যাচ্ছেন নার্গিস আবইয়ার নামের একজন নারী নির্মাতা। ‘ব্রেথ’ নামের একটি ছবি নিয়ে তিনি লড়বেন বিশ্বের বাঘা বাঘা নির্মাতাদের ছবির সঙ্গে।
অস্কারে বিদেশি ভাষার ছবির শাখায় অন্যান্য দেশের ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে ইরান-ইরাক যুদ্ধ নিয়ে তৈরি ‘ব্রেথ’। ছবির কাহিনী তৈরি করা হয়েছে নার্গিস আবইয়ারের নিজের উপন্যাস ‘ব্রেথ’ অবলম্বনে। ছবিতে একটি শিশুর সুন্দর কল্পনা জগত দেখানো হয় এবং সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ১৯৮০ সালের ইরাক-ইরান যুদ্ধের অশান্তিতে। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন নার্গিস আবইয়ারের স্বামী মোহাম্মাদ হোসেইন কাশেমি। অস্কারের জন্য একজন নারী নির্মাতার ছবি নির্বাচিত হওয়ায় তিনি খুবই গর্বিত।
এর আগে ইরানের ৯ জন চলচ্চিত্র তারকার সমন্বয়ে একটি মূল্যায়ন কমিটি তৈরি করা হয়। তারা অস্কার প্রতিযোগিতার জন্য ১০টি চলচ্চিত্র বাছাই করেছিলেন। সেই ১০টি চলচ্চিত্রের মধ্যে থেকে অস্কার আসরে পাঠানোর জন্য বেছে নেয়া হয়েছে ‘ব্রেথ’ ছবিটিকে। তালিকার বাকি ছবিগুলো ছিল ‘দি মিডডে ইভেন্ট’, ‘দি ভিলা টেন্যান্টস’, ‘টুয়েন্টি-ওয়ান ডেস লেটার’, ‘সাবডিউয়েড’, ‘রেড নেইল পলিশ’, ‘মাই ব্রাদার খোসরো’, ‘এ হাউস অন ফোরটি ওয়ান স্ট্রিট’, ‘মালারিয়া’, ও ‘ ইনভারসন’।
ব্রেথ ছবিটির প্রিমিয়ার হয়েছিল ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩৪তম ফজর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। ছবিটি সেরা সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে নিয়েছিল। পুরস্কার পেয়েছিলেন শবনম মোঘাদ্দামি। এছাড়াও নার্গিস আবইয়ার দুটি সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ১২তম ভ্যানকুয়েভার ইন্টারন্যাশনাল ওমেন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এবং তাল্লিন ব্ল্যাক নাইটস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। আইএফপি নিউজ।