চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অভিবাসীদের উপর করাত চালাতে ফরাসি ট্রাম্পের অর্ধশতাধিক অঙ্গীকার

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো অভিবাসীদের উপর করাত চালাতে অর্ধশতাধিক অঙ্গীকার করেছেন ‘ফরাসি ট্রাম্প’ খ্যাত ডানপন্থী নেতা লি পেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী লি আন্তর্জাতিক বানিজ্যের ক্ষেত্রেও ট্রাম্পকে অনুসরণ করবেন বলে প্রচারণায় জানিয়েছেন।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার ফ্রান্সের লিঁও শহরে হাজার হাজার সমর্থকদের উদ্দেশ্য ভাষণকালে কড়া অভিবাসন ও বিশ্বায়নের বিরোধী পেন বলেন- সম্প্রতি ট্রাম্পের জয় এবং ব্রিটেনর ব্রেক্সিটের কারণেই ফরাসিরা তাকে ভােট দেবেন।

নিজেকে ‘জনগণের প্রার্থী’ উল্লেখ করে পেন দেশকে একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনের অঙ্গীকার করে ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকার’ মতো স্লোগান হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন ‘মেইড ইন ফ্রান্স’।

৪৮ বছর বয়েসী পেন বলেন, ‘জনগণের প্রার্থী’ হিসেবে তিনি তার নিজের সীমানা পাহারার জন্য নিজস্ব প্রতিরক্ষা, ব্যবসার জন্য নিজস্ব মুদ্রার প্রচলন করবেন। এছাড়া একটি মজবুত রাষ্ট্রের জন্য অভিবাসন, উদ্বাস্তু ও বিশ্বায়নের বিষয়টি অবমুক্ত রাখবেন না।

আগামী ২৩ এপ্রিল ও ৭ মে ফ্রান্সে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।  সেই নির্বাচনী প্রচারণায় ইসলাম ‘ফরাসি মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’ উল্লেখ করে পেন বলেন, ‘ফ্রান্স সর্বগ্রাসী জোড়া হুমকির সম্মুখীন: একটি অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন ও অপরটি ‘ইসলামী মৌলবাদ’।

ফ্রেন্স টুয়েনিফোরকে পেনল বলেন, ‘এই নির্বাচনে হবে সভ্যতার পছন্দের।’

বিশ্বায়নের প্রসঙ্গ তুলে নিজের তিন সন্তানসহ অন্য শিশুদের দেখিয়ে তিনি বলেন, তারা কি আদৌ ফরাসি ভাষায় কথা বলতে পারে?

আল-জাজিরার স্থানীয় প্রতিনিধি নাতাশা বাটলার জানান, শিক্ষা ও আবাসনের ক্ষেত্রে পেন শুধু ফরাসিদেরই সুবিধা দেয়ার কথা বলেছেন।

তিনি আরও জানান, পেন জনগণকে এই বার্তা দিতে চান যে বিশ্বায়ন ও অভিবাসন ফ্রান্সকে ধ্বংস করছে। সুতরাং এই অবস্থায় ফ্রান্সের জন্য সঠিক লোক তিনিই।

নাতাশার ভাষায়, ‘পেন ফ্রান্সকে ফরাসিদের হাতে ফিরিয়ে দিতে চান। তিনি নিজেকে এলিট-শ্রেনী ও প্রতিষ্ঠান বিরোধী প্রার্থী হিসেবে উপস্থাপন করছেন। এছাড়া জলবায়ু ইস্যুসহ সবমিলিয়ে তাকে ট্রাম্প এবং ব্রেক্সিটের অনুকূল মতানুসারী মনে হচ্ছে

ইউরোপিয় ইউনিয়নের ব্যাপারে বলতে গিয়ে পেন জানান, ব্রাসেলসের এই স্বৈরশাসন থেকে ফ্রান্সকে তিনি মুক্তি দিতে চান। যদি তার ব্লকের অন্য সদস্যরা বড় মাপের সংস্কার মেনে নিতে অস্বীকার করে, তবু্ও তিনি দায়িত্ব গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে সদস্যপদ নিয়ে গণভোট করার অঙ্গীকার করেছেন।

গত শনিবার ফ্রান্সকে অগ্রাধিকার দিয়ে অন্তত ১৪৪ অঙ্গীকার করে একটি নির্বাচনী মেনিফেস্টো প্রকাশ করেন পেন। ২০১২ সালের নির্বাচনে তৃতীয়স্থান লাভের পর দ্বিতীয়বারের মতো লড়তে যাচ্ছেন তিনি।