রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গত দেড় মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে অপহরণ করা রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও ছাত্রসহ ৫ জনের কোন হদিস বের করতে পারছে না পুলিশ ও গোয়েন্দারা। শুধু তদন্ত চলছে বলে মন্তব্য করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ কারণে স্বজনদের উদ্বেগ বাড়ছে।
অপহরণের শিকারদের মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ২২ বছরের তরুণ রিয়াসাত এলাহী চৌধুরী আতিফকে রোববার সকালে কারওয়ান বাজারের অফিসে যাওয়ার পথে তেজগাঁও থানার কাছে মাইক্রেবাসে করে অপহরণ করা হয়। তেজকুনি পাড়ার বাসা থেকে কারওয়ান বাজারের অফিসে যাচ্ছিল সে। টানা হেঁচড়া করে মাইক্রেবাসে উঠানো হলেও তার সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসেননি। এই ঘটনায় আতিফের এক বন্ধুকে সন্দেহ করছে পুলিশ।
এছাড়া পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে ঢাকায় এসে ধানমন্ডি শংকর এলাকা থেকে নিখোঁজ হনম্যাগগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইশরাকেরও খোঁজ নেই এখনও। গুলশান থেকে ২৭শে আগস্ট মাইক্রোবাসে তুলে নেয়া হয় ব্যবসায়ী, বাংলাদেশে বেররুশের অনারারি কনসাল অনিরুদ্ধ রায়কে। সিসি ক্যমেরার ফুটেজে অপহরণকারীদের দেখা গেলেও তারা ধরা পড়ছে না।
ছেলের সামনে গত ২২ আগস্ট মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করা হয় ব্যবসায়ী বিএনপি নেতা সৈয়দ সাদাতকে। নিখোঁজ তালিকায় আরও আছেন বাংলাদেশ কল্যান পার্টির মহাসচিব আমিনুর রহমান। দেড় মাসেও তাদের সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ ও গোয়েন্দারা।
কোন কোন ক্ষেত্রে দিনের বেলা লোকজনের সামনে অপহরণ করা হলেও স্বজনদের দেয়া তথ্য আমলে নিচ্ছে না পুলিশ। মামলা না নিয়ে সাধারণ ডায়েরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন তারা।
গুলশান মডেল থানার ওসি ইন্সপেক্টর আবু বকর সিদ্দিক বলেন: অপহরণকারীদের ধরার জন্য আমাদের পাশাপাশি বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। এখন পর্যন্ত তাদের ধরতে না পারলেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: