চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার রাজনীতি না করতে খালেদাকে আওয়ামী লীগের আহ্বান

অন্ধকারে ঢিল ছুড়ে মারার রাজনীতি থেকে বিরত থাকতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ‘ভারতীয় জুজু’কে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির অপচেষ্টা করছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাহাবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, বাহাউদ্দিন নাসিমসহ দলের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন যেসব অভিযোগ তুলেছেন তা বিএনপির গতানুগতিক মিথ্যাচার, অন্তঃসারশূন্য ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন: বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে অসত্য, বানোয়াট এবং দূরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশবাসীর মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের সচেতন জনগণ তাদের ভারতবিরোধিতার ভাঙা রেকর্ড বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে।

২০০২ সালে ক্ষমতায় থাকার সময় খালেদা জিয়ার করে যাওয়া ‘বাংলাদেশ-চায়না ডিফেন্স এগ্রিমেন্টে’র কথা স্মরণ করিয়ে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আপনারা যখন চুক্তিটি করেছিলেন, কোন ধরনের আলোচনা করেছিলেন? আমরা খালেদা জিয়ার কাছে তার জবাব চাই।’

চীন-রাশিয়া-তুরস্ক ছাড়াও বেলারুশ-ফ্রান্স ও কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক চুক্তি রয়েছে। ভারতের সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী ভারত থেকে ১ শতাংশ সুদে ৫শ মিলিয়ন ডলারের ঋণ সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।

ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন এ প্রসঙ্গে মনগড়া ও মিথ্য তথ্যের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। খালেদা জিযার এ বক্তব্য শুধু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতই নয় উস্কানিমূলকও।’

তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় খালেদা জিয়া বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ‘প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফর চরম ব্যর্থ’ বলে দাবি করেছেন। জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: ‘যিনি ক্ষমতায় থাকাবস্থায় ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানি চুক্তির কথাই বলতে ভুলে যান, কেবল তার কাছেই এবারের সফর ব্যর্থ বলে মনে হতে পারে। তার কাছে ভালো কিছু আশা করা যায় না।

‘আমরা খালেদা জিয়ার মনোবেদনা বুঝি! তার প্রতিটি বক্তব্য, ক্রমাগত ব্যর্থতার ভারে ন্যুজ এক রাজনৈতিক নেত্রীর অসলগ্ন প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই না।’

শেখ হাসিনার সরকারের এ মেয়াদেই তিস্তা পানি সমস্যার সমাধান হবে বলে সংবাদ সম্মেলন থেকে আশা প্রকাশ করা হয়।