চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অনুমতির ১৩ বছর পর আপিল শুনানি

অনুমতি পাওয়ার ১৩ বছর পরে শুরু হয়েছে পরোয়ানা ছাড়া ৫৪ ধারায় কাউকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে আপিলের শুনানি।

তবে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের পরও ওই দুটি বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানাতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। আপিল বিভাগ নতুন সময় দিয়ে শুনানি দিন ঠিক করেন আগামী ১১ মে।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃতাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

১৯৯৮ সালে ডিবি পুলিশ সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রুবেলকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে এবং পরে পুলিশ হেফাজতে মারা যায় রুবেল। এই ঘটনায় কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন রিট করলে ২০০৩ সালে রায় দেন হাইকোর্ট। এতে ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রচলিত বিধান সংশোধন করতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

সংশোধনের আগে কয়েক দফা নির্দেশনা মেনে চলার কথা বলা হয়। রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে, আপিল করার অনুমতি দেওয়া হয় ২০০৪ সালে।

রিটকারীর আইনজীবী ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,এক যুগ আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা ও ১৬৭ ধারা সংশোধনে হাইকোর্ট রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের নির্দেশনা এখনো বহাল রয়েছে। কিন্তু সরকার ওই রায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়নি। যদি রায় বাস্তবায়ন করা হতো তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না।

রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা শুনানিতে অংশ নেন। 

প্রথম দিনের শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষ সময় আবেদন করলে আগামী ১১ মে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়।

হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে আপিল বিভাগকে কি জানিয়েছেন সে সম্পর্কে এটর্নি জেনারেল বলেন, আপিল বিভাগ ১২ দফায় যে নির্দেশনা রয়েছে তা কতটা প্রতিপালন হয়েছে সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন। ১১ তারিখেই আমি এ ব্যাপারে আদালতকে অবহিত করতে পারবো। এর মধ্যে আমাকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসতে হবে। তারা কেন এই বিষয়গুলি বাস্তবায়ন করতে পারলো না সেটা জানতে হবে।

তবে এটর্নি জেনারেল বলেছেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা বর্তমান অবস্থায় পালন করা সম্ভব কিনা তাও দেখতে হবে।