‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা- ২০১৭’ এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। অনুমোদনের পর এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন, গণমাধ্যম নীতিমালার আলোকেই অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা করা হয়েছে যেন অনলাইন মিডিয়া সুনিয়ন্ত্রিতভাবে কাজ করে। এই খসড়া নীতিমালার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো; প্রস্তাবিত সম্প্রচার কমিশনের কাছ থেকে অনলাইন গণমাধ্যমকে নিবন্ধন নিতে হবে। তবে কমিশন হওয়ার আগ পর্যন্ত এ ব্যাপারে দেখাশোনা করবে তথ্য মন্ত্রণালয়। খসড়ায় ১৯৭৩ সালের ছাপাখানা ও প্রকাশনা অ্যাক্ট অনুযায়ী নিবন্ধিত সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনগুলোর অনলাইন সংস্করণের জন্য আলাদা নিবন্ধন প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু কমিশনকে তা জানালেই হবে। নীতিমালায় সব অনলাইন গনমাধ্যমের জন্য নিবন্ধন ফি রাখা হয়েছে যা নির্ধারণ করবে সম্প্রচার কমিশন। আর কোনো বিষয়ে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে ওই কমিশনের কাছে অভিযোগ করতে পারবে।অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশন ৩০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে। পাশাপাশি কোন তথ্য-উপাত্তের কারণে কোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের অধিকার ক্ষুণ্ন হলে কমিশন শুনানি করে জরিমানা করতে পারবে। তবে জরিমানা কত হবে তা জাতীয় সম্প্রচার আইনে বলা থাকবে। এছাড়াও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুভূতি, সংবাদ ও তথ্যমূলক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বক্তব্য ইত্যাদি বিষয়ে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার যে বিধান তা অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালাতেও প্রযোজ্য হবে। দীর্ঘদিন ধরেই অনলাইন গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টরা এমন একটি নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার কথা বলে আসছিলেন। বিশেষ করে কিছু ভূঁইফোড় অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভুয়া খবর এবং অশ্লীলতা বন্ধের দাবিতে। এজন্য তারা সব অনলাইন গণমাধ্যমের নিবন্ধনের কথাও বারবার বলেছেন। আমরাও তাই-ই চাই। তবে প্রস্তাবিত সম্প্রচার কমিশনকে লক্ষ্য রাখতে হবে- অনলাইনে গণমাধ্যমকে ‘সুনিয়ন্ত্রিতভাবে কাজ করার’ প্রয়োজনীয়তার কথা বলে যেন তাদেরকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করা হয়। আমরা যেমন অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা চাই; তেমনি চাই গণমাধ্যমের নিশ্চিত স্বাধীনতাও।