প্রয়াত অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর ৯৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
বুধবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে (দোতলায়) এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বনকারী এদেশীয় দোসরদের বিচারের দাবিতে গড়ে উঠা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন অধ্যাপক কবীর চৌধুরী।
মঙ্গলবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অধ্যাপক কবীর চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা-৬’ প্রদান করবেন ‘সেন্টার ফর দি স্টাডি অব জেনোসাইড এ্যান্ড জাস্টিস’-এর পরিচালক মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মফিদুল হক।
‘বাংলাদেশের গণহত্যার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্য প্রদান করবেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।
সভাপতিত্ব করবেন নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী।
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জনাব তোফায়েল আহমেদ এমপি।
সভায় আরও উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত বৃটিশ সমাজকর্মী জুলিয়ান ফ্রান্সিস, ১৯৭১ঃ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট-এর সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, নর্থ আমেরিকান জুরিস্ট এসোসিয়েশন কানাডা চ্যাপ্টারের প্রাক্তন সভাপতি এ্যাটর্নি উইলিয়াম স্লোন এবং নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য শহীদ সন্তান ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা।
আলোচনা সভায় ৭১-এর গণহত্যা সম্পর্কে শাহরিয়ার কবির সম্পাদিত ‘On recognition of Bangladesh Genocide’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হবে। প্রকাশনা উপলক্ষে এই দিন গ্রন্থটি ৫০% ভাগ হ্রাসকৃত মূল্যে পাওয়া যাবে।
প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক কবীর চৌধুরী ১৯২৩ সালের ৯-ই ফেব্রুয়ারী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। সরকার তাকে দেশের জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে সম্মানিত করে। ২০১১ সালে ৮৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘৭১-এর গণহত্যাকারীদের পুনর্বাসন প্রতিহত করে তাদের বিচারের দাবিতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যে নাগরিক আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল তার ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই আন্দোলনের কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ’৭১-এর গণহত্যাকারীদের বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ করে আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেছেন। তবে এখনও জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের গণহত্যার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মেলেনি, যা আমাদের আন্দোলনের অন্যতম দাবি।’