অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের রায় জমা দেয়া ১৬৮ মামলার কয়েকটি ছাড়া বেশির ভাগ মামলা পুন:শুনানি হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এস. কে সিনহা। অ্যাটর্নি জেনারেল মনে করেন, প্রধান বিচারপতি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের রায় লেখা নিয়ে প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের পর এর পক্ষে বিপক্ষে অনেক আলোচনা হয়। এ সময়ের মধ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন এবং সাবেক বিচারপতি এএইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী অনেকগুলো মামলার রায় লিখে আপিল বিভাগে জমা দেন। ওই সময় প্রধান বিচারপতি মামলাগুলো শুনানির জন্য কার্যতালিকায় দেন।
মামলাগুলোর পুনঃশুনানি হতে পারে কিনা, এমন বিতর্কের মধ্যে ৫ মে আপিল বিভাগের কার্যক্রমের শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সিনিয়র আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে মামলাগুলো কিভাবে নিষ্পত্তি হবে সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন প্রধান বিচারপতি।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, তিনি আজকে ওপেন কোর্টে আমাদেরকে বলে দিয়েছেন যে, আগে যে সমস্ত মৌখিক আদেশ দেয়া হয়েছিলো, যেই রায় ঘোষণা করা হয়েছিলো, তাই বহাল থাকবে। অর্থাৎ যেসমস্ত পিটিশনে লিভ দেয়া হয়েছিলো সেগুলো লিভ দেয়া হবে। যেগুলো খারিজ করে দেয়া হয়েছিলো সেগুলো খারিজ আদেশই বহাল থাকবে। তবে বিশেষ দুই-চারটি মামলায় পুনঃশুনানির প্রয়োজন হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে তিনি আইনজীবীদের জ্ঞাত করে শুনানি করবেন।
প্রধান বিচারপতি তার মন্তব্যে বলেছেন, এখানে যেসব মামলা আছে সেগুলোর মধ্যে ৪ থেকে ৫ বছরেও রায় লেখা হয়নি এমন মামলাও আছে। তাই শুনানিতে আনা হয়েছিলো। এ বিষয়ে মতামত জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, এটাকে আমি ইতিবাচক মনে করি এবং এটা সাধারণ জনগণ বিচারপ্রার্থীদের মঙ্গলের জন্য এটা করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির এই সিদ্ধান্ত অন্য কোন বিচারপতিকে হেয় করার জন্য বা কাউকে অবমূল্যায়ণ করার জন্য করেন নাই।
আপিল বিভাগের কার্যতালিকা থেকে জানা যায়, সাবেক দুই বিচারপতি ছাড়াও সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করীমসহ এরই মধ্যে মারা গেছেন এমন বিচারপতির মামলাও রয়েছে।