চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অটিজম সমস্যা সমাধানে সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ: সায়মা

অটিজম সমস্যা সমাধানে সচেতনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। বৃহস্পতিবার বিকেলে হোটেল সোনারগাঁওয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘২০১৬ সালে বাংলাদেশে অটিজম এবং অসংক্রামক রোগ পরিস্থিতি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

সায়মা ওয়াজেদ বলেন, এক্ষেত্রে পরিবার, শিক্ষক এমনকি সামাজিকভাবে সবাইকে এ সংক্রান্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেতে হবে। যাতে সমাজের সকলের মধ্যে অটিজম সংক্রান্ত স্বচ্ছ ধারণা থাকে। এছাড়া সরকারের উচিত ১১২টি সুনির্দিষ্ট পন্থায় নিউরো ডিসঅর্ডার ডেভেলপমেন্ট বা অটিজম সচেতনতায় কাজ করা। অটিজম সচেনতায় ৪৫টি কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অটিজম স্ক্রিনিং বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে যথেষ্ট। এসব অবকাঠামো ব্যবহার করে দেশে অটিজম স্ক্রিনিংয়ের কাজ করা যেতে পারে।

অটিজম সচেতনতায় মিডিয়ার গুরুত্ব উল্লেখ করে অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন বলেন, ২০১১ সালে যখন বাংলাদেশে এই বিষয় নিয়ে কাজ শুরু হয় তখন মিডিয়ার কারণেই সকলে বিষয়টি জানতে পারে। দেশে আজকে যে অটিজম সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে, তার পেছনে মিডিয়ার ভূমিকা অপরিসীম। আগামীতে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

এই অটিজম বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ভুক্তভোগীর পরিবারসহ সকলের সচেতনতা প্রয়োজন। আক্রান্তদের জন্য নিশ্চিত করতে হবে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিক্ষা ও, চাকরীর সুযোগ, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ছাড়াও তাদের চিহ্নিত করাটাও জরুরী। তাই দেশে বিদ্যমান অটিজম, ডাউন সিনড্রম ও নিউরো ডেভলপমেন্টাল ডিসওর্ডার-এনডিডি জনিত সমস্যার বর্তমান পরিস্থিতি জানতে পাইলট আকারে জরিপ চালানো হবে। ঐ পরিকল্পনার আওতায় বাস্তবায়ন করা হবে যাবতীয় কাজ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক।