চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অটিজম আক্রান্তদের জন্য স্থায়ী উন্নয়ন কর্মসূচি নেবে সরকার

প্রতিটি উপজেলায় অটিজম সনাক্তকরণ ও চিকিৎসায় কেন্দ্র স্থাপন করাসহ তাদের জন্য স্থায়ী উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নবম বিশ্ব অটিজম দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন বলেছেন, অটিজম আক্রান্তদের জন্য এমন ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ তা বন্ধ করতে না পারে।  প্রতিবন্ধীরাও মানুষ, তারাও আমাদের সমাজের অংশ। একটি দেশ গড়তে হলে সব ধরনের মানুষকে নিয়েই এগোতে হবে। 

ভিডিও কনফারেন্সে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বলেন, আপনারা প্রথমেই কোনো বাচ্চাকে অটিস্টিক বলে বসবেন না। কারণ, যখনই বাবা-মায়েরা এই শব্দটি শোনে তারা কষ্ট পায়। এটি একটি স্নায়ু বিকাশ জনিত সমস্যা।

শেখ হাসিনা বলেন, অটিজম সম্পর্কে দেশে কোনো সচেতনতাই ছিলো না। সন্তান অটিস্টিক হলে বাবা-মায়েরা তাদের লুকিয়ে রাখতেন। এমনকি যে মায়ের অটিস্টিক সন্তান জন্ম নিতো, তাদেরকে সামাজিকভাবে লাঞ্ছনা-গঞ্জনা সইতে হতো। তবে এখন আর সে অবস্থা নেই। এখন এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। মা সবচেয়ে বেশি এমন সন্তানের খেয়াল রাখেন, কিন্তু মা-বাবা না থাকলে তাদের কি হবে? সেই কথাটা আমরা ভাবছি। তাই আমরা এমন কিছু উদ্যোগ নিচ্ছি যেন রাষ্ট্র এদের প্রতিপালনের কর্তব্য পালন করবে। কিন্তু আমাদের দেশে কোনো উদ্যোগ নেওয়ার পর সরকার পরিবর্তিত হলে উদ্যোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেজন্য আমরা ফাউন্ডেশন করে, ট্রাস্ট ফান্ড করে এমন করে করতে চাই যেন সরকার পরিবর্তন হলেও সেটার উপর কোনো প্রভাব না আসে।  

অটিস্টিকসহ প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি উপজেলায় পর্যায়ক্রমে অটিজম সনাক্তকরণ, কাউন্সেলিং ও চিকিৎসাব্যবস্থা করবো। পাশাপাশি ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা করা হবে। বড় বড় অনেক বিজ্ঞানী ছোটবেলায় অটিজমে আক্রান্ত ছিলো। তারা মেধাবিকাশের সুযোগ পেয়েছে। আমাদের শিশুরা সুযোগ পেলে তারা অনেক কিছু সমাজকে দিতে পারবে। এই শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য সেনানিবাসগুলোতে প্রয়াস নামে একাডেমি করা হয়েছে। এ ধরনের একাডেমি আরও তৈরি করার কাজ চলছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবন্ধীদের জন্য স্কুল রয়েছে। বেসরকারি খাতেও এদের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য আমরা ব্রেইল বই দিচ্ছি। প্রতিবন্ধীদের জন্য পরীক্ষায় ৩০ মিনিট বেশি সময় দেওয়া হয়।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপযোগী বা প্রতিবন্ধীবান্ধব সফটওয়্যার-হার্ডওয়্যার ও ওয়েবসাইট ডেভেলপ করতে নির্মাতাদের আহ্বান জানান তিনি।

প্রতিবন্ধীদের এগিয়ে নিতে বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।