চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রুবেলের ছক্কায় তামিমের মুগ্ধতা

ক্যারিয়ারে হাজারও ছক্কা হতে দেখেছেন তামিম ইকবাল। নিজেও মেরেছেন অনেক। সেসবের কয়টা দাগ কেটেছে মনে, রেখেছেন স্মৃতিতে, গোনা নেই। তবে মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের পেসার জার্ভিসকে মারা রুবেল হোসেনের ছক্কাটি বাঁহাতি ওপেনার যে অনেকদিন মনে রাখবেন সেটি বোঝা গেল তার কথাতেই।

ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লোয়ার-মিডলঅর্ডারে সাব্বির-নাসির-মাশরাফীদের ব্যর্থতায় লেজের ব্যাটসম্যানদের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। দলীয় সংগ্রহ দুইশ স্পর্শ করবে কিনা সেটি নিয়েই ঘোর শঙ্কা জেগেছিল একসময়। বিপদের সময় টেলএন্ডার সানজামুল ও মোস্তাফিজ খেললেন দায়িত্ব নিয়ে। তাদের ব্যাটে দুইশ পেরোয় দলের রান। শেষ ওভারে দরকার ছিল বাড়তি কিছু রান।

শেষ ওভারে জার্ভিসের ফুল লেংথে করা দ্রুতগতির একটি বল সোজা ব্যাটে খেলে কিছুটা সময় স্থির দাঁড়িয়ে থাকলেন রুবেল। বোলারের মাথার ওপর দিয়ে উড়ে বল বাউন্ডারি সীমানা পেরিয়ে আছড়ে পড়ার পরও একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলেন বাংলাদেশের ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান! ছক্কা মারার পর রুবেলের স্টাইলিশ ব্যাটসম্যানদের মত ওই ভঙ্গি মন কেড়েছে তামিমের, ‘ছক্কার চেয়ে ওর ফলো থ্রু’টা বেশি ভাল লেগেছে আমার।’

রুবেল সতীর্থদের কাছে গল্প করে বেড়ান, জাতীয় দলে ১১ নম্বরে ব্যাট করলেও বাগেরহাট লিগে খেলতেন ওপেনিংয়ে। সেটা সত্যিই। বাগেরহাট প্রথম বিভাগ লিগে ওপেন করে ফিফটি আছে এই পেসারের। বাগেরহাটের ‘ওপেনার রুবেল’কে নিয়ে মজাও চলে ড্রেসিংরুমে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯১ রানের জয়ে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়া তামিমের কথায় বোঝা গেল এমন ছক্কার পর গল্পটা আমবে সামনেও, ‘ছক্কার গল্পটা যে কয় বছর চলবে আমি নিজেও জানি না। অসাধারণ।’