চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দ্য ইকোনমিস্টের ‘বর্ষসেরা দেশ’র কাছাকাছি ছিল বাংলাদেশ

ক্রমাগত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্যের হার কমে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী বিশেষভাবে পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশ। আর এসব উন্নয়নের ফলাফল স্বরূপ এবছর ‘বর্ষসেরা দেশ’ বা ‘কান্ট্রি অব দি ইয়ার’ নির্বাচিত হওয়ার খুব কাছাকাছি ছিল বাংলাদেশ।

মনোনয়নের প্রস্তাবনায় উঠে এসেছিল নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জায়গা দেয়ার বিষয়টিও। লন্ডন ভিত্তিক নিউজ ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্ট প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশ করে। এবছর বর্ষসেরা দেশ নির্বাচিত হয়েছে ফ্রান্স। যদিও শেষ পর্যন্ত সেরা নির্বাচিত হওয়ার তালিকায় আলোচনা চলে আর্জেন্টিনা, সাউথ কোরিয়া ও ফ্রান্সকে নিয়ে।

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে সেরা দেশ হিসেবে গ্রহণ করেনি দ্য ইকোনমিস্ট। কারণ ব্যাখ্যা করে ম্যাগাজিনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশটি যদি নাগরিকদের স্বাধীনতা খর্ব না করতো এবং প্রকাশ্যে ইসলামী উগ্রপন্থীদের আতঙ্ক ছড়ানোর সুযোগ না দিতো- তাহলে হয়তো তারাই সেরা নির্বাচিত হতো।

সব ধরনের প্রত্যাশার বাইরে গিয়ে ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ইমানুয়ের ম্যাক্রোঁর বিজয়কে বিবেচনায় রেখে তাদের সেরা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দ্য ইকোনমিস্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, একটি সমাজের খোলা ও বন্ধ থাকা দৃষ্টির মধ্যে যুদ্ধটাই এখন সারাবিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা। ফ্রান্স সেই জায়গায় একটা সেতু তৈরি করেছে এবং সেই বিরোধটা মিটিয়েছে। তাতেই সেরার মুকুট মিলেছে দেশটির।

এই ম্যাগাজিনের ২০১৫ সালের সেরা দেশ নির্বাচনের সিদ্ধান্তও ভুল ছিল মেনে মন্তব্য করা হয়। সেবার মিয়ানমারকে কান্ট্রি অব দি ইয়ার ঘোষণা করা হয়। ওই বছর বামপন্থী স্বৈরতন্ত্র থেকে খানিকটা গণতন্ত্রের অভিরূপে ফিরছিল মিয়ানমার। ইকোনমিস্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, রোহিঙ্গা নৃগোষ্ঠির প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে তা মর্যাদাহানিকর, এটা দ্রুতই কতটা খারাপ হয়ে উঠবে সেটা তারা অনুধাবন করতে পারছে না। এই বছরের ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বার্মিজ সেনাবাহিনীর ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে পাশের দেশ বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। এত এত রোহিঙ্গাকে স্থান দেয়ায় বাংলাদেশের নামও সেরা দেশের নাম হিসেবে মনোনীত করা হয়।

২০১৩ সাল থেকে এই পুরস্কার ঘোষণা করে আসছে দ্য ইকোনমিস্টের। এই তালিকায় সেই দেশটিই সেরা নির্বাচিত হয় যারা বিগত ১২ টি মাসে লক্ষ্য করার মতো পরিবর্তন এনেছে এবং বিশ্বকে আরো আলোকিত করেছে।