বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তিন তালাক নিষিদ্ধ করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তিন তালাকের শিকার হওয়া কয়েকজন নারী এবং দুটি অধিকার গোষ্ঠীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই রায় দিয়েছেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তিন তালাককে ইসলামবিরোধী এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করে দেয়া এই রায়কে আদালত নারী অধিকার আন্দোলনের জয় বলে উল্লেখ করেছে।
বিবিসি জানায়, যেকোন মুহূর্তে তিন তালাক উচ্চারণ করে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক না রাখা গুটিকয়েক দেশের মধ্যে ভারতও ছিল। কিন্তু এই রায়ের পর দেশটিতে আর সেই নিয়ম থাকছে না।
এই রায়কে মুসলিম নারীদের জন্য বড় বিজয় মন্তব্য করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে অনেক নারী। রায়ের পর এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তারা।
একজন নারী অধিকার কর্মী বলেছেন- বেশিরভাগ মুসলিম রাষ্ট্র তিন তালাক নিষিদ্ধ করলেও ভারতে তা বিদ্যমান ছিল, যা দুঃখজনক। বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তিন তালাক কোন যথাযথ আইন হতে পারে না।
ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলনের কর্মী জাকিয়া সোমান বলেন, ৭০ বছর ধরে ভারতের মুসলিম নারীরা ভুক্তভোগী ছিল। আজ আমাদের বিজয়ের দিন, কিন্তু এখানেই শেষ নয়।
তিল তালাক কী?
সম্প্রতি ভারতে চিঠিতে, টেলিফোনে এবং হোয়াটসঅ্যাপ ও স্কাইপে তিন তালাক বলে বিবাহ বিচ্ছেদের মতো অনেক ঘটনা ঘটছে। এ ধরনের অনেক ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়াচ্ছে। যদিও শরীয়া এবং কোরআনে তিন তালাকের কোন বিধান নেই। এরপরও যুগের পর যুগ এই বিধান চলে আসছে।
ইসলামি বিজ্ঞজনরা বলেছেন, তালাক কিভাবে দিতে হয় কোরআনে তা স্পষ্ট করে বলা আছে। এই কাজের জন্য তিন মাস সময় দিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে আবার দুইবার সম্পর্ক জোড়া লাগানোর উদ্যোগ নিতে হয় বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে।