চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পিইসি পরীক্ষায় অব্যবস্থাপনা, নানা অভিযোগ

সোহেল তালুকদার: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, পরীক্ষা কেন্দ্রে অব্যবস্থাপনাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

অভিভাবদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীর চেয়ে কম প্রশ্নপত্র সরবরাহ, ইবতেদায়ী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দিয়ে প্রাইমারী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া এবং কোচিং বাণিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের কাছে প্রশ্ন বিক্রি ও ফাঁসে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন জড়িত ।

এসব অনিয়মের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকদরা পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে নিয়ম নেই বলে তাদেরকে বাধা দেন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ১০টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা। সরেজমিনে উপজেলার এসব পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়।

পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্র ছাড়া অন্যসব স্কুল খোলা রাখার পাশাপাশি শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। শিক্ষক নেতাদের ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই ওই সকল স্কুলের শিক্ষকরা রয়েছেন অলিখিত ছুটিতে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, একাধিক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে থানা থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন কেন্দ্র সরবারহ করার নিয়ম থাকলেও সেই নিয়ম মানেন নি শাহনেওয়াজ পারভীন। এমনকি সময়ের অনেক আগেই তিনি একা একা প্রশ্ন সংগ্রহ করেন। আবার নিজেই তা বিভিন্ন কেন্দ্র সরবাহ করেন।

আলমগীর হোসেন নামে একজন অভিভাবক বলেন, আমরা মনে করছি প্রশ্ন ফাঁস ও বিক্রির সাথে তিনি জড়িত। এ জন্যই বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র কম গেছে।

তার অভিযোগ, নানা সুবিধা নিয়ে কিছু স্কুল ও কোচিং বাণিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের সুবিধা দিতেই শিক্ষা কর্মকর্তা নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন।

প্রশ্নপত্র কম পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ভারই পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক মাছুদা বলেন, ইংরেজী পরীক্ষায় আমার কেন্দ্র তিনটি প্রশ্নপত্র কম আসে। পরে পরীক্ষা শুরু ২৫ মিনিট পর শিক্ষা কর্মকর্তা নিজে এসে তা সরবারহ করেন।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন বলেন, স্কুলগুলোতে শিক্ষক কম থাকায় ওই সকল বিদ্যালয়ে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।

সাংবাদিকদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা প্রবেশ করলে অন্যরাও প্রবেশ করতে চায়। এ কারণে উপর মহলের নির্দেশে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ বলেন, এসব অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।