চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

টঙ্গীর জোড়া খুনের পেছনে মাদক ব্যবসা: র‌্যাব

মাদক ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টঙ্গীর দত্তপাড়ায় আক্তার হোসেন ও আসিবুর রহমান মিমকে হত্যা করা হয় বলে দাবি করেছে র‌্যাব।

বুধবার রাত সাড়ে এগারোটায় আক্তার ও মিম হত্যা মামলার প্রধান অাসামি হুমায়ূনসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১। ওই সময় গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিনসহ ৭ রাউন্ড গুলি, ১টি চাপাতি, ১টি ধারালো ছুরি ও ২৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি হুমায়ুন কবির (২৪), সাত নম্বর  আসামি জুয়েল শিকদার (১৯), মো. জীবন (২৯), বিল্লাল হোসেন (১৮) এবং রবিউল রবু (১৮)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।

তিনি বলেন, মূলত মাদক ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মো. হুমায়ুন কবির ওরফে হুমায়ুন। ভিকটিমদের এর আগেও বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করেছিল গ্রেপ্তারকৃতরা। তবে তা সুযোগের অভাবে সম্ভব হয়নি।

মুফতি মাহমুদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় বিগত প্রায় ৪/৫ বছর যাবত হুমায়ুনের নেতৃত্বে প্রায় ২০-২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র টঙ্গীর দত্তপাড়া ও এরশাদ নগর এলাকাকেন্দ্রিক মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। হুমায়ূনের নেতৃত্বে এ দলটি এলাকার চিহ্নিত দুর্ধর্ষ ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ বলে পরিচিত। তারা ওই এলাকায় মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে ছিনতাই-রাহজানিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।দ্রুত বিত্তশালী হওয়ার লোভে মাদক ব্যবসা-আক্তার ও মিম

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে এগারোটায় র‌্যাবের আভিযানিক বিশেষ দল টঙ্গীর দত্তপাড়ার ধুমকেতু স্কুলের সামনে থেকে হুমায়ুন কবির, জুয়েল শিকদার ও মো. জীবনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে ওই রাতেই পাশের এলাকা বনমালা রেলগেইট থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বিল্লাল হোসেন ও রবিউল রবুকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় টঙ্গীর দত্তপাড়ার ইশানদি সরকার রোডের একটি নির্মাণাধীন ভবনের নিচে আক্তার ও মিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আক্তারের বাবা মো. মজিবুর রহমান ১৪ ডিসেম্বর টঙ্গী থানায় ১৪ জন এজহারভুক্ত ও ৫/৭ অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে।