চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধে’ নামতে রাজি ফেসবুক, টুইটার,ইউটিউব

লন্ডন হামলার পর নিজেদের সামাজিক মাধ্যমকে জঙ্গিবাদী চেতনা-তৎপরতা মুক্ত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফেসবুক, টুইটার, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো।

জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের জন্য ফেসবুককে চরম বিপজ্জনক প্ল্যাটফর্মে পরিণত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটি। লন্ডনে জঙ্গি হামলার পর সামাজিক মাধ্যমকে জঙ্গিবাদ ইস্যুতে সর্বোচ্চ কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে।

মে’র এই আহ্বানের পরই নিজেদের প্ল্যাটফর্মকে কার্যকর ভাবে জঙ্গি বিরোধী করার ঘোষণা দেয় ফেসবুক।
রোববার এক বিবৃতিতে লন্ডন হামলার নিন্দা জানিয়ে ফেসবুকের পলিসি ডিরেক্টর সাইমন মিলনার বলেন, ‘আমরা ফেসবুককে জঙ্গিবাদের জন্য অসহনীয় করে তুলবো। এজন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজ শুরু করেছি। সম্মিলিত এই কাজের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে জঙ্গিবাদ এবং জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতে পারে এমন সব পোস্ট-কাজকর্ম সরিয়ে ফেলা হবে। নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচিত হলে আমরা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকেও প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করবো।’

টুইটার জানায়, জঙ্গিবাদে উস্কানি দেয়া অপপ্রচার বন্ধে আগের চেয়েও কঠোর হবে প্রতিষ্ঠানটি।
টুইটারের যুক্তরাজ্যের শীর্ষ কর্মকর্তা নিক পিকলস বলেন,‘টুইটারে সন্ত্রাসী উপকরণের কোনো স্থান নেই।’

জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য ২০১৬ সালেই ৪ লাখ টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

জঙ্গিদের দারুণ প্রচারণাক্ষেত্র হয়ে উঠেছে ইউটিউব এমন অভিযোগে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সংস্কারমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সবচেয়ে বড় ভিডিও সাইটটি পরিচালনা করা গুগল।

লন্ডনে গত শনিবার ৩ জঙ্গির হামলায় ৭ জন নিহত হন। এই হামলার আগে দুই মাসে দু’টি জঙ্গি হামলার মুখে পড়ে যুক্তরাজ্য। এসব হামলায় ইন্টারনেট বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যম দায় এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেন ব্রিটিশ টেরেসা মে। এসব ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান জঙ্গিবাদ ছড়ানোর নিরাপদ মাধ্যম হয়ে উঠেছে জানিয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।